ছবিতে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

ছবিতে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

শিক্ষকবৃন্দের দাবি, সরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের মতো তাদেরও ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতাসহ বাড়িভাড়া এবং পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। তারা উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালেও তারা তাদের দাবির পক্ষে কঠোর আন্দোলনে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদি আগামী ১৭ মে’র মধ্যে উক্ত দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে তারা আবারও আন্দোলনের পথে ফিরে যাবেন এবং ১৭ মে রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

জাতীয়করণসহ অন্যান্য ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, দেশের শিক্ষক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। এ প্রেক্ষিতে তারা আসন্ন ঈদুল আজহার আগে শতভাগ উৎসব ভাতা ঘোষণা ও প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

এই মহাসমাবেশের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?

জাতীয়করণসহ মোট ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি চাপ প্রয়োগ করাই ছিল এই মহাসমাবেশের মূল উদ্দেশ্য।

শিক্ষকদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?

শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান, বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ সরকারি সুবিধার আওতায় আনার দাবিটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছেন কারা?

সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।

আন্দোলনের সময়সীমা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে?

সরকারকে ১৭ মে পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে দাবি পূরণের জন্য। দাবি মানা না হলে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

সরকার যদি দাবি না মানে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি উপেক্ষিত হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের পথেই তারা অগ্রসর হবেন, যা হতে পারে অবস্থান কর্মসূচি বা অনশন।

উপসংহার

শিক্ষকদের এই মহাসমাবেশ শুধু ১০ দফা দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণই নয়, বরং দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত প্রতিবাদের প্রতীক। শিক্ষক সমাজ আশা করছে, সরকার সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে ঈদের আগেই যৌক্তিক দাবি পূরণ করবে। অন্যথায় তারা বাধ্য হবেন পরবর্তী কর্মসূচিতে যেতে, যা আরও বৃহৎ আন্দোলনে রূপ নিতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top