শনিবার (১২ জুলাই) সারাদেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এসব বক্তব্য দেন।

ক্ষমতা লাভের আগেই একটি রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি, খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা।
শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই মন্তব্য করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নেতারা বলেন, “ক্ষমতায় গিয়ে দেশবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও তারা নিজের দলের লোকজনকেই নিরাপদ রাখতে ব্যর্থ। দেশের জনগণ খুনি, ধর্ষক ও চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্বপ্ন ছিল একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, গণধর্ষণ, এমনকি পাথর দিয়ে মানুষ হত্যার মতো মধ্যযুগীয় বর্বরতা পর্যন্ত সংঘটিত হচ্ছে।”
নেতারা এসব ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ জানান এবং দেশব্যাপী সচেতন প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ঢাকা, ১২ জুলাই:
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। মিছিল শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী লাল সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আজ আবারও একটি প্রকাশ্য রাজনৈতিক দল পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চাইছে। কিন্তু জুলাইয়ের প্রজন্ম বেঁচে থাকতে আমরা তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেবো না।”
কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা অভিযোগ করেন, “মিটফোর্ডে আমার ভাইকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে, আমাদের আতঙ্কিত করতে চায়। তারা দেশের গ্রাম-গঞ্জ, বাজার-ঘাট কোথাও বাদ রাখেনি—সব জায়গায় চাঁদাবাজি চালিয়েছে। জনগণ যেমন ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে, তেমনি চাঁদাবাজদেরও প্রতিরোধ করবে।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী জাহেলিয়াতের কবর রচিত হয়েছে। এখন নতুনভাবে জাতীয়তাবাদী জাহেলিয়াত মাথাচাড়া দিচ্ছে। আমরা সতর্ক করছি—ছাত্র জনতা সজাগ রয়েছে। আপনারা যদি সন্ত্রাসীদের লাগাম না টানেন, ছাত্র জনতাই রাজপথে নেমে তাদের প্রতিহত করবে।”
এছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
ছাত্রশিবিরের এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপট কী?
১২ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সংগঠনের নেতারা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই বক্তব্য দেন।
ছাত্রশিবির কার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে?
ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে, যা দেশের জন্য অশনিসংকেত।
তারা কী ধরনের সহিংসতার কথা বলেছে?
নেতারা বলেন, পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা, প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে, যা ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’ যুগের বর্বরতার সঙ্গে তুলনীয়।
শিবির নেতারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কী সতর্কবার্তা দিয়েছেন?
তারা বলেন, যদি এই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির লাগাম টেনে ধরা না হয়, তাহলে ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
বিক্ষোভে আরও কারা বক্তব্য রেখেছেন?
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সাদিক কায়েম, অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতা।
উপসংহার
ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ ও সমাবেশে উঠে আসা বক্তব্যগুলো বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সহিংসতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তরুণদের উদ্বেগ ও প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি। তারা যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—দেশবাসী চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক নিরাপত্তার দাবিও। শিবির নেতারা অতীতের ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে এনে ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন। এই ধরনের প্রতিবাদ রাজনৈতিক অঙ্গনে গণসচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।