
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট তিনজন প্রাণ হারালেন।
সর্বশেষ নিহত ব্যক্তির নাম মাহবুবুর রহমান (৪৫)। তিনি রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে জানান, গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাহবুবুর রহমান মারা যান। তাঁর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
মাহবুবুরের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম কবির আহামেদ ভূঁইয়া।
এ ঘটনায় দগ্ধ রিয়াজ নামের আরেকজন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে একই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ইউসুফ ও ইদ্রিস নামের দুই ব্যক্তি মারা যান। গত শনিবার রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সৈয়দাবাদ এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁরা দগ্ধ হয়েছিলেন। বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং গুদামটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্যমতে, ওই গুদামে অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করা হতো।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম কী?
মাহবুবুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
তিনি কোথায় চিকিৎসাধীন ছিলেন?
রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
এই ঘটনায় মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে?
এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন।
দুর্ঘটনাটি কোথায় ঘটেছিল?
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সৈয়দাবাদ এলাকায়।
গুদামে কী ধরনের কার্যক্রম চলছিল?
অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা (রিফিল) করা হতো।
উপসংহার
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ–সাতকানিয়া সীমান্তবর্তী গ্যাস সিলিন্ডার গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। অবৈধভাবে গ্যাস রিফিলের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রমের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি ও আইন প্রয়োগ জরুরি।