খালেদের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার বিকালে টিএসসি থেকে রিকশায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে যখন তার জ্ঞান ফিরে, তিনি নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি মাইক্রোবাসে দেখেন, যেখানে তার সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছিলেন। এরপর তিনি আবারও অচেতন হয়ে পড়েন।

চারদিন ধরে নিখোঁজ থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্র খালেদ হাসানের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আব্দুল কাদের জানান, খালেদ হাসান বর্তমানে ভয়ভীতি অনুভব করছেন এবং তিনি কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। একান্তে কথা বলার সময় তিনি জানান, তাকে গুম করা হয়েছিল।
খালেদের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার বিকালে টিএসসি থেকে রিকশায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাওয়ার সময় তিনি রিকশাতে জ্ঞান হারান। পরে যখন তার জ্ঞান ফিরে, তিনি নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পান, যেখানে তার সঙ্গে আরও ২-৩ জন ছিলেন। এরপর তিনি আবারও জ্ঞান হারান।
দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পান, তিনি নিজেকে পঞ্চগড়ের একটি স্থানে দেখতে পান, এবং মাইক্রোবাস তখনো চলছিল। তৃতীয়বার মঙ্গলবার রাতে তার জ্ঞান ফেরে, এবং তিনি নিজেকে বরিশালের এক রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে তাকে গাড়িতে তুলে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আব্দুল কাদের জানান, খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো নেই এবং সে এখনও ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ বলেন, “আমি খালেদের সঙ্গে কথা বলেছি। সে কিছু বলতে চাচ্ছে, কিন্তু ভয়ের কারণে বলতে পারছে না। তাকে খুব দুর্বল দেখাচ্ছে। ডাক্তার জানিয়েছে, তার ব্লাড প্রেশার বেড়েছে। এখন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে সে ঘটনার বিস্তারিত জানাবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, খালেদ হাসানকে গুম করা হয়েছিল। তিনি বলেন, খালেদ হাসান এখনো ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না, তবে একান্তে কথা বলার সময় তিনি জানান, তাকে গুম করা হয়েছিল।
এ পরিস্থিতিতে, খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো নয় এবং তার চিকিৎসা চলছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং তার সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানাবেন।
উপসংহার
উপসংহারে, খালেদ হাসানের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তার ভাষ্যমতে, তাকে গুম করা হয়েছিল, যা তার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, খালেদের চিকিৎসা চলছে এবং তার সুস্থ হয়ে ওঠার পর তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানাবেন। এই ঘটনাটি বিশেষভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি এক ধরনের নিপীড়ন এবং বৈষম্যের প্রতিবাদ হিসাবে সামনে এসেছে, যা সমাজে একটি বড় প্রশ্ন তুলেছে।