কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের সমর্থন

কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের সমর্থন

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইনস্টিটিউট এবং একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষক সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে চলমান কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস এবং প্রকৌশল খাতকে কুক্ষিগত করার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সাতরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে উপস্থিত হন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইনস্টিটিউট এবং একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষক আন্দোলনস্থলে যোগ দেন।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাশফিক ইসলাম বলেন, “আজকের কর্মসূচিতে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকও অংশ নিয়েছেন। তাদের এই সমর্থন আমাদের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে।”

জকের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক তিন দফা দাবির’ পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধ করা।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উপস্থাপিত দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা।

ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন ব্যবস্থা চালু করা।

এদিকে অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় মালিবাগ, মহাখালী, ফার্মগেট ও মগবাজারমুখী সড়কগুলোতে দীর্ঘ গাড়ির সারি দেখা যায়। হঠাৎ সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী যাত্রীরা এবং জরুরি সেবার যানবাহনের চালকেরাও বিপাকে পড়েন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে চলমান আন্দোলনে আজ চার দফা দাবি উত্থাপন করেছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—

প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক তিন দফা দাবির’ পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধ করা।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দফা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা।

ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন ব্যবস্থা চালু করা।

এদিকে অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় মালিবাগ, মহাখালী, ফার্মগেট ও মগবাজারমুখী সড়কগুলোতে দীর্ঘ গাড়ির সারি তৈরি হয়। হঠাৎ সড়ক অবরোধে অফিসগামী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন, পাশাপাশি জরুরি সেবার যানবাহনের চালকেরাও সমস্যায় পড়েন।

ছবি: দৈনিক শিক্ষাডটকম

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূল কারণ কী?

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং প্রকৌশল খাতকে একচেটিয়া করার চেষ্টা চলছে। এ কারণেই তারা আন্দোলন করছেন।

শিক্ষার্থীরা কত দফা দাবি উপস্থাপন করেছেন?

আজকের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন’ চালু করা।

কোন কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন?

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইনস্টিটিউট ও একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৮–১০ জন শিক্ষক সংহতি প্রকাশ করেছেন।

আন্দোলনের কারণে রাজধানীতে কী ধরনের প্রভাব পড়েছে?

তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে অবরোধের ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। মালিবাগ, মহাখালী, ফার্মগেট ও মগবাজারমুখী সড়কগুলোতে দীর্ঘ গাড়ির সারি দেখা গেছে।

আন্দোলন নিয়ে সংগঠনের নেতারা কী বলছেন?

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাশফিক ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষকদের সমর্থন আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে।

উপসংহার

কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমাজের সমর্থন যোগ হওয়ায় দাবিগুলো আরও শক্তিশালী রূপ নিয়েছে। তবে আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ দ্রুত সমাধান করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top