কথা না বলায় সহপাঠীর হাতে ছাত্রী নিহত

কথা না বলায় সহপাঠীর হাতে ছাত্রী নিহত

“মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার উমরবান পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন একটি কৃষিক্ষেত থেকে ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভিকটিম অভিযুক্ত সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।”

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ধর জেলায় ১৭ বছর বয়সী দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে তার এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। রাজ্য পুলিশ জানায়, গত রোববার (৪ মে) এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

শনিবার উমরবান পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন একটি কৃষিক্ষেত থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভিকটিমের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্ত কিশোর ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

জেলার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, উমরবান ফাঁড়ির অধীন একটি প্রত্যন্ত এলাকার কৃষিক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়, যা জেলা সদর দপ্তর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ধর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গীতেশ গর্গ জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্ত কিশোর ভিকটিমকে কিছুদিন ধরে হয়রানি করে আসছিল। এই প্রেক্ষিতে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত কিশোর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানায়, মেয়েটি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সে ক্ষুব্ধ ছিল। অভিযুক্তের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে কিশোরটি মেয়েটিকে কৃষিক্ষেতে দেখা করতে ডাকে এবং সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে। ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ধর জেলায়, উমরবান পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন একটি কৃষিক্ষেতে।

নিহত ছাত্রীর বয়স ও শ্রেণি কত ছিল?

নিহত ছাত্রী ছিলেন ১৭ বছর বয়সী এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন।

হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল কারণ কী ছিল?

পুলিশ জানায়, ছাত্রীটি অভিযুক্ত সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

অভিযুক্ত কে এবং তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

অভিযুক্ত একজন কিশোর সহপাঠী, যার নাম প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে?

পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহের পর প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।

উপসংহার

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য, পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সহনশীলতা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। একটি সাধারণ বিরূপ প্রতিক্রিয়াই কিভাবে প্রাণঘাতী হতে পারে, তা এ ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পারিবারিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোসামাজিক সহায়তা ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top