দেশের সকল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা

দেশের সব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
সোমবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।
শিক্ষকরা জানান, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে। সে অনুযায়ী ২,৭৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১,৭৭২টি প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে আন্তঃমন্ত্রণালয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করা হলেও পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। এর আগে স্বীকৃতি পাওয়া ৫৭টি বিদ্যালয়সহ অনলাইনে আবেদন করা ১,৭৭২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা একাধিকবার আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মৌখিক আশ্বাসই দিয়েছে।
তাদের দাবি, মানবেতর জীবনযাপন করেও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করে দেশের শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। অথচ সরকার তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি উদাসীন। তাই অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
দেশের সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি প্রদান ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করা।
সব বিশেষ বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী-বান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা।
বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক ৩,০০০ টাকা শিক্ষা উপবৃত্তি নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মিডডে মিল, উচ্চমানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা।
শিক্ষার্থীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ, মুখ্য সমন্বয়ক গাউসুল আজম শীমু এবং সমন্বয়ক মোছা. রিমা খাতুন।
প্রতিবন্ধী #প্রতিবন্ধীবিদ্যালয়
টি সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা কেন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন?
তারা দেশের সব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করার দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন।
এই আন্দোলন কোথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে?
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক ও কর্মচারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
২০১৯ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং আবেদন গ্রহণ শুরু করলেও প্রক্রিয়াটি ধীরগতিতে চলছে, ফলে এখনো কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তাদের প্রধান দাবিগুলো কী কী?
সব বিশেষ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি, প্রতিবন্ধী-বান্ধব অবকাঠামো, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, থেরাপি সেন্টার ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, এবং চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটার বাস্তবায়ন।
আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন?
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ইলিয়াস রাজ, মুখ্য সমন্বয়ক গাউসুল আজম শীমু ও সমন্বয়ক মোছা. রিমা খাতুন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।




