আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে কিছু প্রার্থী তাদের সনদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও প্রবেশ করে সবাইকে আটকে রাখেন। উল্লেখ্য, প্রাকযোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদ সরাসরি নিয়োগের জন্য নয়, শুধুমাত্র প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জারি করা হয়।
এই ঘটনায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

আজ সোমবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীরা তাদের বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে অফিসের ভেতরে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এরা মূলত সেই প্রার্থীরা যারা প্রাকযোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যদিও এই সনদ সরাসরি নিয়োগের জন্য নয়, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে দেওয়া হয়।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ অবস্থায় রমনা থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ করেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে এই প্রার্থীরা এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, আইনের অপব্যবহার, ঘুষবাণিজ্য ও মনগড়া নিয়মনীতি প্রণয়নের অভিযোগে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা দাবি করেন, বিগত সরকার ৪৮ হাজার কোটি টাকার ঘুষবাণিজ্যে যুক্ত থেকে চাকরি ও সনদ প্রদান করেছে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এদের দাবি, এনটিআরসিএ শূন্য পদের বিপরীতে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না করে দুর্নীতি করে পদের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীরা তাদের বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে অফিসের ভেতরে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এরা মূলত সেই প্রার্থীরা যারা প্রাকযোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাদের সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যদিও এই সনদ সরাসরি নিয়োগের জন্য নয়, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে দেওয়া হয়।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রমনা থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ করেন এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।
আন্দোলনকারীরা আরও অভিযোগ করেন, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭-১৮টি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে, কিন্তু নিয়োগ সুপারিশ মাত্র ৫ বার (২০১৬, ২০১৮, ২০২০, ২০২২, ২০২৪)। তারা বলেন, এনটিআরসিএর চাকরির জন্য দুইবার পরীক্ষা দিতে হয় ও দুইবার আবেদন করতে হয়, যার ফলে দ্বিগুণ খরচ পড়ছে। প্রথমে এমসিকিউ, রাইটেন ও ভাইভা পাস করতে হয়, তারপর আবার মেধা অনুযায়ী আবেদন করতে হয় নিয়োগের জন্য, যা তাদের মতে অত্যন্ত অযৌক্তিক ও দুর্নীতিপূর্ণ।
২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসা প্রার্থীরা এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ও ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগও করেছেন। তাদের দাবি, বিগত সরকার প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
কেন এনটিআরসিএ অফিস অবরুদ্ধ করা হয়েছে?
বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএ অফিসের ভেতরে সবাইকে অবরুদ্ধ করেছে।
কারা এই অবরোধে অংশ নিয়েছে?
প্রাকযোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বয়স ও সনদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া নিবন্ধনধারীরা এই আন্দোলন করেছেন।
পুলিশ কেন অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়নি?
বিকেল সাড়ে চারটার সময় রমনা থানায় খবর দেওয়া হয়, কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে না এসে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আন্দোলনকারীরা কি দাবি করছেন?
তারা সনদ ও বয়সের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ কী?
এনটিআরসিএ ১৭-১৮টি পরীক্ষা নিয়েও মাত্র ৫ বার নিয়োগ সুপারিশ করেছে। তাদের মতে দুইবার পরীক্ষা দিতে হয়, দুইবার আবেদন করতে হয়, যা তাদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
উপসংহার
বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিলসহ বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে এনটিআরসিএ অফিস অবরুদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা নিজেদের সমস্যা তুলে ধরেছেন। পুলিশ না আসার অভিযোগ এই পরিস্থিতিকে আরো সংকটাপন্ন করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে দিয়ে আন্দোলনকারীরা ন্যায্য অধিকার দাবি করছেন। এই সংকট মেটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর সমাধান ও সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।