এজলাসের ভিডিও ভাইরাল, আইনজীবী ফোরামের বক্তব্যের নানা প্রতিক্রিয়া

এজলাসের ভিডিও ভাইরাল, আইনজীবী ফোরামের বক্তব্যের নানা প্রতিক্রিয়া

ঢাকার একটি আদালতের এজলাসের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের (বিএনপি সমর্থিত) দেওয়া বক্তব্যকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিও এবং ফোরামের প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মতামত জানাচ্ছেন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।

ঢাকার একটি আদালতের এজলাসে বিচারককে নিয়ে করা মন্তব্য ও অসদাচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বক্তব্য ঘিরে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (১৭ মে), ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে, যেখানে এক হত্যাচেষ্টা ও চাঁদা দাবি মামলায় আসামির জামিন শুনানিকালে একদল আইনজীবী বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

জামিন না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারককে ‘আওয়ামী ম্যাজিস্ট্রেট’ আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করা হয় এবং আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) ছুড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ হিসেবে উল্লেখ করে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্টদের আইনজীবী সনদ বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

এই বিবৃতি রোববার রাতে প্রকাশ করে তারা। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষে দেওয়া প্রতিক্রিয়া নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক বিতর্ক।

ঢাকার একটি আদালতের এজলাসে বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনায় তৈরি হওয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বক্তব্য আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

গত শনিবার (১৭ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে এক হত্যাচেষ্টা ও চাঁদা দাবি মামলার জামিন শুনানিকালে এই ঘটনা ঘটে। জামিন না দেওয়ায় বিচারকের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ, তাঁকে ‘আওয়ামী ম্যাজিস্ট্রেট’ বলে আখ্যা দেওয়া এবং আদালতের কজলিস্ট ছুঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটে।

ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক নিন্দা প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ, আইনজীবী মহল ও বিচারকগণ।

অভিযুক্ত আইনজীবীদের নাম
এই ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক মিলন, ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ, অ্যাডভোকেট এস. এম. ইলিয়াস হাওলাদার, এবং অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল আলম জহির।

বিচারকদের সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে এই আইনজীবীদের সনদ বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাল্টা বক্তব্য
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২০ মে) ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা দাবি করেন, বিচারক নিজেই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার ঝড় বইছে। একজন ব্যবহারকারী মো. নাসিম মন্তব্য করেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলে কি আর আমরা এই সব নাটক দেখতে পারতাম বলেন!!!”

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

এজলাসে কী ঘটনা ঘটেছিল যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে?

ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে এক জামিন শুনানির সময় কয়েকজন আইনজীবী বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। বিচারকের ওপর গালিগালাজ, তাঁকে “আওয়ামী ম্যাজিস্ট্রেট” আখ্যা এবং কজলিস্ট ছুড়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় কোন আইনজীবীদের নাম উঠে এসেছে?

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক মিলন, এবং ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জাবেদ, ইলিয়াস হাওলাদার, ও জহিরুল আলম জহির এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কী বলেছে?

ফোরামের নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে বিচারকের আচরণকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিচারকদের সংগঠন কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দিয়ে ঘটনার নিন্দা জানায় এবং অভিযুক্ত আইনজীবীদের সনদ বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।

সামাজিক মাধ্যমে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিচার বিভাগে রাজনৈতিক প্রভাব, আইনজীবীদের আচরণ ও বিচারকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

উপসংহার

বিচারকের সঙ্গে এজলাসে ঘটে যাওয়া অসদাচরণের ঘটনা এবং তা ঘিরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অবস্থান বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা ও পেশাগত শৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। একদিকে বিচারকের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা, অন্যদিকে আইনজীবীদের আচরণ ও জবাবদিহিতা—এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা এখন জরুরি। এমন ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণই হতে পারে আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top