“টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর উপায় হলো কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ যেন সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করে এবং এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকে যা এই অস্থির অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।”

বাংলাদেশ ইরানে ইসরাইলের সামরিক হামলার ঘটনায় দ্ব্যর্থহীনভাবে তীব্র নিন্দা এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে বলা হয়, এমন ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করে এবং এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি থাকতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর পথ হলো কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা। বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানায় এবং এমন কোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলার অনুরোধ করে, যা মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থির অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সূত্র: বাসস
ঘন ঘন জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
বাংলাদেশ ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?
বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ঘটনাটি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
এই হামলা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের মূল কারণ কী?
বাংলাদেশ মনে করে, এই ধরনের সামরিক পদক্ষেপ ইরানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কী বার্তা দিয়েছে?
বাংলাদেশ বলেছে, টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের একমাত্র কার্যকর পথ হলো কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা। সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কী করতে বলেছে?
বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য গঠনে ভূমিকা রাখে।
এই বিবৃতি কবে ও কোথা থেকে দেওয়া হয়েছে?
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জুন মাসে (শুক্রবার) একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। সূত্র হিসেবে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস উল্লেখ করেছে।
উপসংহার
ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি দেশের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। এই অবস্থান শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভূমিকাকে তুলে ধরে। কূটনীতি, সংযম এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতেই টেকসই শান্তির পথ নির্মিত হতে পারে—এমন বিশ্বাসেই বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সহনশীলতা ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। এই সংকটময় সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত পদক্ষেপই পারে উত্তেজনা প্রশমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।