এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবি পরিবারের একজন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলেও, ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা ধরণের গড়িমসি লক্ষ্য করছি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে প্রশাসন ভবন চত্বরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও ১১ দিন পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বরং আমরা তাদের নানা ধরনের তালবাহানা ও গড়িমসি লক্ষ্য করছি, যা আমাদের হতাশ এবং শঙ্কিত করছে।
তারা বলেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যেসব লুকানো ঘটনা রয়েছে এবং যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতা আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি। এভাবে বিচারহীনতা চলতে থাকলে অপরাধীরা আরও সুযোগ পাবে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার চাই।’’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ২৪ এর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে দায়িত্ব পেয়েছেন। অথচ এমন একটি গুরুতর ঘটনায় তার পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট অবস্থান বা কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের প্রত্যাশা নিয়ে আমরা তাদের দায়িত্বে বসিয়েছি, কিন্তু তারা আমাদের হতাশ করেছে।’’
শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সাজিদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। কারণ বিচার না হলে কেউই এই ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয় বলে তারা মনে করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “ইবি পরিবারের একজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ১১ দিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। বরং বারবার তালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।”
তারা আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যেসব ঘটনা লুকানো রয়েছে এবং যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না—এটা আমাদের হতাশ ও শঙ্কিত করছে। দ্রুত বিচার না হলে অপরাধীরা আরও সাহস পাবে।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদদের রক্তের বিনিময়ে দায়িত্ব পেয়েছেন। অথচ এই ঘটনার প্রতি তার কোনো স্পষ্ট অবস্থান আমরা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা যাদের নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলাম, তারাই আজ আমাদের হতাশ করছে।”
তারা স্পষ্ট জানান, “সাজিদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। কারণ এই ঘটনার বিচার না হলে কেউই এই ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়।”
ঘটনার পটভূমি
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়নি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রশাসন ভবন ও প্রধান ফটক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সকল শিক্ষার খবর সবার আগে পেতে—
শিক্ষাসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তা ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকুন। নতুন ভিডিও মিস না করতে এখনই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল আইকনে ক্লিক করুন। এতে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
করতে এখানে ক্লিক করুন] (আপনার ইউটিউব লিংক দিন)

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
কোন শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে?
উত্তর: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।
কখন এবং কোথা থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়?
১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শিক্ষার্থীরা কী ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন?
উত্তর: শিক্ষার্থীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রশাসন ভবনের সামনে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি কী?
তারা সাজিদের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো অগ্রগতি শিক্ষার্থীরা দেখতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
উপসংহার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১১ দিন পার হলেও তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় তারা মৌন অবস্থানসহ ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আস্থার স্বার্থে প্রশাসনের উচিত দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।




