ইএফটি নিয়ে যা বললেন মাদরাসা বিভাগের সচিব
মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব সম্প্রতি ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) ব্যবস্থাপনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইএফটি পদ্ধতি বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বিতরণে স্বচ্ছতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করছে। এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিক্ষক ও কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তিতে কোনো ধরণের বিলম্ব বা জটিলতা হচ্ছে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ইএফটি ব্যবস্থার মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা হয়, যা কাগজপত্রের প্রয়োজনীয়তা কমিয়েছে এবং দূর্নীতি রোধে সহায়ক হয়েছে। মাদরাসা বিভাগ এই পদ্ধতিকে আরও উন্নত করতে কাজ করছে এবং সকল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
সচিবের মতে, ইএফটি ব্যবহারের ফলে শুধু আর্থিক লেনদেনই নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মান আরও উন্নত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সর্বশেষ আপডেট ও গুরুত্বপূর্ণ ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। সাবস্ক্রাইব করার পর বেল বাটনে ক্লিক করতে ভুলবেন না। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের আপলোড করা প্রতিটি ভিডিওর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
নতুন খবর, শিক্ষার আপডেট এবং বিশ্লেষণধর্মী কন্টেন্ট পেতে আজই যুক্ত হোন দৈনিক আমাদের বার্তার সাথেই।
ইএফটি কী?
ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) হলো একটি আধুনিক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে অর্থ সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এটি কাগজবিহীন এবং দ্রুত আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করে।
মাদরাসা বিভাগের সচিব ইএফটি নিয়ে কী বলেছেন?
মাদরাসা বিভাগের সচিব বলেছেন, ইএফটি ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সাথে প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এই পদ্ধতি দুর্নীতি রোধে এবং কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে সহায়ক হয়েছে।
ইএফটি ব্যবহারে শিক্ষকদের কী সুবিধা হচ্ছে?
শিক্ষকরা তাদের বেতন-ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন, যার ফলে কোনো বিলম্ব বা জটিলতা ছাড়াই অর্থ হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।
ইএফটি কি দুর্নীতি কমাতে সহায়ক?
হ্যাঁ, সচিবের মতে, ইএফটি ব্যবস্থায় অর্থ সরাসরি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের কারণে মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা কমেছে, যা দুর্নীতি রোধে কার্যকর প্রভাব ফেলেছে।
ভবিষ্যতে ইএফটি নিয়ে আরও কী উদ্যোগ নেওয়া হবে?
মাদরাসা বিভাগ ইএফটি পদ্ধতিকে আরও উন্নত এবং কার্যকর করতে পরিকল্পনা করছে। সচিব সংশ্লিষ্ট সকলকে এই উদ্যোগে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এটি শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উপসংহার
মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতির প্রবর্তন আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা, দ্রুততা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মাদরাসা বিভাগের সচিবের বক্তব্য ইএফটির কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সময়মতো এবং নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে ইএফটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
তবে ইএফটি ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। মাদরাসা বিভাগ এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ইএফটির সফল বাস্তবায়ন শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিকায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।




