পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত ১,৫২২ পুলিশ সদস্য পুনরায় চাকরিতে ফিরে পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্বহালের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত হওয়া ১,৫২২ পুলিশ সদস্য পুনরায় চাকরিতে ফিরছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ১,০২৫ জন কনস্টেবল, ৭৯ জন নায়েক, ১৮০ জন এএসআই/এটিএসআই, ২০০ জন এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই, ১০ জন ইন্সপেক্টর এবং ২৮ জন ‘নন-পুলিশ’ সদস্য।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সদর দপ্তর জানায়, ২০২৪ সালের আগস্টে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত আবেদনসমূহ পর্যালোচনা করে। ইতোমধ্যে কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেসব সদস্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আপিল করে জয়ী হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি তাদের বিষয়ে আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি।
আরও জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি।
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
কতজন পুলিশ সদস্য চাকরি ফিরে পাচ্ছেন?
মোট ১,৫২২ জন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য পুনরায় চাকরিতে ফিরছেন।
কোন কোন পদে সদস্যরা পুনর্বহাল হচ্ছেন?
এর মধ্যে রয়েছেন ১,০২৫ জন কনস্টেবল, ৭৯ জন নায়েক, ১৮০ জন এএসআই/এটিএসআই, ২০০ জন এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই, ১০ জন ইন্সপেক্টর ও ২৮ জন ‘নন-পুলিশ’ সদস্য।
এই সিদ্ধান্ত কে নিশ্চিত করেছেন?
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিভাবে পুনর্বহাল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
২০২৪ সালের আগস্টে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি আবেদনসমূহ পর্যালোচনা করে এবং সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয়।
কোন প্রক্রিয়ায় সদস্যদের পুনর্বহাল করা হচ্ছে?
যেসব সদস্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আপিল করে জয়ী হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপসংহার
চাকরিচ্যুত ১,৫২২ পুলিশ সদস্যের পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত তাদের পেশাগত জীবনে স্থিতিশীলতা আনবে এবং বাহিনীর কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে জয়ী সদস্যদের পুনর্বহাল করা হচ্ছে, যা ন্যায়বিচার ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রতিফলন।
