আন্দোলনসহ যেকোনো কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন মাদারীপুর জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা।

আন্দোলন বা অন্য কোনো কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের তথ্য চেয়েছেন মাদারীপুর জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মাদারীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. ফরিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ বা অন্য কোনো কারণে কর্মস্থলের বাইরে অবস্থানরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী নিয়মিতভাবে এমএস ওয়ার্ড ফরম্যাটে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করতে হবে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
তিনি অনতিবিলম্বে মাদারীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পাঠানো চিঠিটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় এর পূর্ণ দায়ভার সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক নেতা আজিজী।

টি সাধারণ প্রশ্নোত্তর
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেন এমন নির্দেশনা দিয়েছেন?
উত্তর: আন্দোলন বা অনুপস্থিতির কারণে কর্মস্থলে না থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনার আওতায় কারা পড়বেন?
মাদারীপুর জেলার সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা এর আওতায় থাকবেন।
শিক্ষক সমাজের প্রতিক্রিয়া কী?
শিক্ষক নেতারা বিষয়টি ক্ষোভের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। তারা মনে করেন, এটি আন্দোলন দমন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কৌশল।
জোটের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এবং না হলে দায়ভার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে সতর্ক করেছেন।
এখন পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে?
শিক্ষক সংগঠনগুলো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। চিঠি প্রত্যাহার না হলে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে।
উপসংহার
মাদারীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনায় শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনিক তৎপরতা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষক নেতারা একে আন্দোলন দমনের কৌশল হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে শিক্ষা প্রশাসন বলছে এটি শুধুমাত্র শৃঙ্খলা রক্ষার পদক্ষেপ। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে শিক্ষক–প্রশাসনের সম্পর্ক আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।




