বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌম্য দাসকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর গোসলরত অবস্থায় ভিডিও ধারণ এবং বিভিন্ন অশালীন অনলাইন গ্রুপে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগের প্রমাণ তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌম্য দাসকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা গেছে, তিনি ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর গোসলরত অবস্থায় ভিডিও ধারণ এবং বিভিন্ন অশালীন অনলাইন গ্রুপে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণে অভিযুক্ত।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কেন তাকে আরও কঠোর শাস্তি—যেমন স্থায়ী বহিষ্কার—প্রদান করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে হবে আগামী ৯ নভেম্বর বিকেল ৪টার মধ্যে। তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, সৌম্য দাস চাইলে আগামী ১০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় উপস্থিত থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। এরপর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর চুয়েটের মুক্তিযোদ্ধা হলে গোসলরত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর ভিডিও ধারণের অভিযোগে সৌম্য দাসকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে ঘটনার আট দিন অতিক্রান্ত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত তিন দফা দাবির মধ্যে ছিল—অভিযুক্ত সৌম্য দাসের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা, স্থায়ী বহিষ্কার এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।
শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত আরও খবর জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন দৈনিক আমাদের বার্তা। সবশেষ আপডেট ও ভিডিও সংবাদ দেখতে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য বেল আইকনে ক্লিক করুন, যাতে সর্বশেষ ভিডিওগুলো সরাসরি আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে পৌঁছে যায়।

টি সাধারণ প্রশ্নোত্তর
কে সেই শিক্ষার্থী যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে?
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌম্য দাসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে?
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর গোসলরত অবস্থায় ভিডিও ধারণ এবং অশালীন অনলাইন গ্রুপে সম্পৃক্ততা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে।
শিক্ষার্থীরা কেন বিক্ষোভ করেছে?
ঘটনার আট দিন পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা তার শাস্তির দাবিতে তিন দফা আন্দোলন শুরু করে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
সৌম্য দাসকে আগামী ৯ নভেম্বর লিখিত জবাব দিতে হবে এবং ১০ নভেম্বর স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
উপসংহার
চুয়েট শিক্ষার্থী সৌম্য দাসের বিরুদ্ধে অশালীন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সাময়িক বহিষ্কার শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্ত ও শুনানি শেষে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।




